বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি সরবরাহে বিশাল চুক্তি
- By Jamini Roy --
- 25 January, 2025
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে নতুন অধ্যায় রচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। আর্জেন্ট এলএনজি গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বর্তমানে আর্জেন্ট এলএনজি লুইজিয়ানায় বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমটিপিএ) এলএনজি উৎপাদনের অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। প্রতিষ্ঠানটি অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের কার্গো বিক্রি শুরু করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই দেশটির তরল গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় চুক্তি। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি জ্বালানি অনুসন্ধান ও সরবরাহের ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ নেন। তার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-সংক্রান্ত লাইসেন্স স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলএনজি সরবরাহকারী দেশ। তারা ২০২৮ সালের মধ্যে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। লুইজিয়ানার পোর্ট ফোরচনে আর্জেন্ট এলএনজির অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এলএনজি সরবরাহ সহজতর হবে।
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে দীর্ঘদিন ধরে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খোঁজা হচ্ছে। তরলীকৃত গ্যাস আমদানির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে চায় সরকার। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, এই চুক্তি কেবল গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। তখন বাংলাদেশ কম দামি কয়লার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সরকার আবার তরল গ্যাসের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
এ চুক্তি বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে। লুজিয়ানার অবকাঠামো উন্নয়ন ও গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে বাংলাদেশের শিল্প, বিদ্যুৎ ও অর্থনৈতিক খাতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।